Wednesday, September 20, 2017

কোন সৃষ্টির আইন বা বিধান রচনা করার অধিকার নেই→মনির হোসাইন

গবেষণা প্রতিবেদনঃ
নিজেদেরকে পরিচালনা করার জন্য আজ নিজেরাই আইন বা বিধান রচনা করছে।আর যে সমাজের লোকেরা এমনটা করছে সে সমাজটাই জাহেলি সমাজ।এসব সমাজের পূজা উপাসনার পদ্ধতি, রীতি-নীতি,আচার ব্যবহার সব কিছুই তাদের ভ্রান্ত আকিদা বিশ্বাস থেকে রচিত এবং এজন্যই এ সমাজ জাহেলি সমাজ।এগুলো এজন্যও জাহেলি সমাজ যে,তাদের সকল সংস্থা ও আইন-কানুন এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর সমীপে নতি স্বীকারের ভিত্তিতে রচিত হয়নি।তারা আল্লাহর আইন মানে না এবং আল্লাহর নির্দেশনাবলীকে আইনের উৎস হিসেবে স্বীকার করতেও প্রস্তুত নয়।পক্ষান্তরে তারা মানুষের সমন্বয়ে গঠিত আইন পরিষদকে বিধান প্রণয়নের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রদান করেছে।অথচ এ ক্ষমতা শুধু আল্লাহর জন্যে সুনির্দিষ্ট।কুরআন নাযিলের যুগে যারা তাদের ধর্মযাজক ও পুরোহিতদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছিল,কুরআন তাদেরকে মুশরীক আখ্যা প্রদান করেছে।
اتخذوا احبارهم ورهبانهم اربابا من دون الله والمسح ابن مريم..............♦
অনুবাদঃ
তারা আল্লাহকে ছেড়ে তাদের ওলামা ও পুরুহিতদের 'রব' বানিয়ে নিয়েছে এবং মরিয়মের পুত্র মসিহকেও।অথচ এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদাত করতে আদেশ দেয়া হয়নি।তিনি ব্যতীত ইবাদাতের যোগ্য অন্য কেউ নেই।তাদের মুশরীক সুলভ রীতিনীতি থেকে আল্লাহ সম্পূর্ণ পবিত্র।
(আত তাওবাহঃ৩১)
 এসব লোকেরা তাদের ওলামা ও পুররোহিতদের খোদাও মনে করতো না এবং তাদের উপাসনাও করতো না।তবে তারা ঔসব ধর্মযাজক ও পুরোহিতদের বিধান প্ররণয়নের অধিকার দিয়েছিল এবং তাদের আইন বিধান মেনে চলতো।বৈজ্ঞানিক সত্য প্রকাশ করার কারণে এবং তা ধর্মযাজকের তৈরী করা আইনের পরিপন্থি হওয়াই এরিস্টটল ও গ্যালিলিওয়ের মত বিজ্ঞানীদেরকে শাস্তি পেতে হয়য়েছে ।তাই এদেরকে আল্লাহ মুশরীক আখ্যা দান করেছে।আজও একই অবস্থা,পার্থক্য শুধু এটুকুই যে,
আইন রচনার অধিকার ধর্মযাজক ও পুররোহিতদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নির্বাচিত আইন পররিষদের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।বলা বাহুল্য,আইন পরিষদের সদস্যগণও ধর্মযাজকের মতই মানুষ মাত্র।আজকের যুগের মুসসলমান সমাজও জাহেলি সমাজ।তারা আল্লাহ ছাড়া অন্য দেব দেববীর উপাসনা করে না।এর পরেও তাদের সমাজ জাহেলি সমাজ।কারণ,তারা এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর সমীপে আত্ম সমর্পনের ভিত্তিতে তাদের জীবণ যাত্রার প্রণালী নির্ধারণ করেনি।
অাল্লাহ বলেন,
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولاءك هم الكفرون♦
অনুবাদঃ
যারা আল্লাহর দেওয়া হুকুম মুতাবিক বিচার ফায়সালা করে না,তারা কাফের।(মায়েদাঃ৪৪)

মামলা মোকদ্দমার মীমাংসা হবে আল্লাহর আইনে।আল্লাহ বলেনঃ
الم تر الي الذين يز عمون انهم امنوا بما انزل اليكم وما انزل من قبلك...........♦
অনুবাদঃ
(হে নবী) তুমি কি ঐসব লোকদের দেখেছ যারা মুখে দাবী করে যে,তোমার প্রতি ও তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা সবই সত্য বলে বিশ্বাস করে।কিন্তু তারা তাদের মামলা মোকদ্দমা ও বিষয়াদি মীমাংসার জন্যে তাগুতের নিকট পেশ করে।অথচ তাগুতকে অস্বীকার করার নির্দেশই তাদের দেয়া হয়েছিল।(নিসাঃ৬০)

তিননি আরও বলেননঃ
فلا  ربك لا يومنون حتي ...............♦
অনুবাদঃ
না (হে মুহাম্মাদ)তোমার রবের কসম! তারা কিছুতেই মুমিন হতে পারবে না,যে পর্যন্ত না তারা তাদের সকল বিষয়ে তুমাকেই চূড়ান্ত মীমাংসাকারী হিসেবে গ্রহণ করে এং তোমার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অন্তরে কোন দ্বিধা সংকোচ না রেখে অবনত মস্তকে তা মেনে নেয়।
(নিসাঃ৬৫)।

সুতরাং জমিন আল্লাহর
আইন চলবে আল্লাহর।
এজন্যই এই বিপ্লবী ঘোষণা যে,
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ(সা)।
[منير حسين]

No comments:

সুনামগঞ্জের সর্ববৃহৎ সামাজিক অনলাইন প্লাটফর্ম 'সুনামগঞ্জ ডটকম'

আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ, পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের একটি অন্যতম জেলা সুনামগঞ্জ এবং তার মাটি ও মানুষ। অন্যদের মত স...