Friday, September 22, 2017

সইমুমের সাবেক পরিচালক ইকবাল হোসাইন জীবন গানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন


প্রতীক্ষিত #হাসবুনাল্লাহ ।। আবার মন্তব্য এবং #শেয়ার হবে।। #OfficialVideo #HASBUNALLAH Dedicated to our #Rohingya loved ones.
পৃথিবীর মানুষেরা আজ দিকে দিকে আওয়াজ তুলেছে, আরাকানের মুসলিমদের উপর যে জাতিগত নিধন চলছে তার প্রতিবাদ হচ্ছে দেশে দেশে।
আমরাও প্রতিবাদ জানাই সংগীতের মাধ্যমে। এই সুর পৌছে যাক দুনিয়ার সকল প্রান্তে। #SharePlease #শেয়ার_করে_দিন
####The people of the world have raised their voice and protest against humanity and ethnic cleansing on Rohingya Muslims in Arakan State. We also protest by our Nasheed. Let's spread out this Tune world wide.

Song: Hasbun Allah From the album: #Show_me_the_way
Singer: Iqbal HJ
Lyric: Mohammed Mukith
Compose: Parvez Juwel
Director: H Al Banna
Supervision: HM Muhammad
Assistant Director: Pappu & Enam Al Hasan
DOP: H Al Banna & Hamza
Location: Jahidul Islam & Shopnil Shozib
Production Incharge: Nazif
Art Direction: Sharmin Chowdhury
Camera Assis: Shah Jalal
Behind the inspiration: Marjia Iqbal

Cast:
Anowar, Sabina, Mitisha, Nafees, Tarif, Apon, Pavel, Debashis, Al Amin, Minar

Co Artist:
Robiul Islam, Diderul Islam, Saad Al amin, Abdur Rahman, Salma Parvin Roza & Shahabuddin Shihab.

Sponsor by:
iTV USA

Management:
Jahidul islam
Abdullah Al Mamun
Mojammel
Shopnil Shozib

Other Cast:
Akram hossain
JR Hridoy
Md Nishat
Md Tutul
Md Azim
Md Akash
Taiful Islam
Ahmed Athar Istiaq
Rakibul Ahsan Miner
Emranul Hoque
Abu Jafar Raihan
Rosul Amin
Jahid Sajal
Erfanul Hoque
Abu Hossen
MD Bappy
Mamun Bhuiyan
Shohidul Islam Riyad

Special Support:
Desh Bangla Rubber & Plustic industries

Special Thanks:
USA:
Ataul Osmani
Hoshneara begum
Salauddin MD Rasel
Kazi Hoque
Muhammad Shahidullah
Bilkis Akter
Muhsena Khan
Lucky hossain uddin
Zia Uddin Khan
Mohammed Ahmed

UK:
K M Robiul Alam
S U Rigan
M Imam Hossain
Nanu Miah
Akal Miah

BD:
Elias Hossain
Umme Sumayla
Msh Babu
Ayesha Tarannum
Shumon
Umme Hossain
Parvez Real
Nahar Sarker
Nasema Khan
ABM Noman
MD Mahi
All of my Friends & Fans

Producer:
Iqbal HJ
ELAN Record

Technical Support:
Hijri Group, UK
Fundamental Record, BD

#ENJOY #Share #Peace
HD LINK: https://www.youtube.com/w

Wednesday, September 20, 2017

কোন সৃষ্টির আইন বা বিধান রচনা করার অধিকার নেই→মনির হোসাইন

গবেষণা প্রতিবেদনঃ
নিজেদেরকে পরিচালনা করার জন্য আজ নিজেরাই আইন বা বিধান রচনা করছে।আর যে সমাজের লোকেরা এমনটা করছে সে সমাজটাই জাহেলি সমাজ।এসব সমাজের পূজা উপাসনার পদ্ধতি, রীতি-নীতি,আচার ব্যবহার সব কিছুই তাদের ভ্রান্ত আকিদা বিশ্বাস থেকে রচিত এবং এজন্যই এ সমাজ জাহেলি সমাজ।এগুলো এজন্যও জাহেলি সমাজ যে,তাদের সকল সংস্থা ও আইন-কানুন এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর সমীপে নতি স্বীকারের ভিত্তিতে রচিত হয়নি।তারা আল্লাহর আইন মানে না এবং আল্লাহর নির্দেশনাবলীকে আইনের উৎস হিসেবে স্বীকার করতেও প্রস্তুত নয়।পক্ষান্তরে তারা মানুষের সমন্বয়ে গঠিত আইন পরিষদকে বিধান প্রণয়নের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রদান করেছে।অথচ এ ক্ষমতা শুধু আল্লাহর জন্যে সুনির্দিষ্ট।কুরআন নাযিলের যুগে যারা তাদের ধর্মযাজক ও পুরোহিতদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছিল,কুরআন তাদেরকে মুশরীক আখ্যা প্রদান করেছে।
اتخذوا احبارهم ورهبانهم اربابا من دون الله والمسح ابن مريم..............♦
অনুবাদঃ
তারা আল্লাহকে ছেড়ে তাদের ওলামা ও পুরুহিতদের 'রব' বানিয়ে নিয়েছে এবং মরিয়মের পুত্র মসিহকেও।অথচ এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদাত করতে আদেশ দেয়া হয়নি।তিনি ব্যতীত ইবাদাতের যোগ্য অন্য কেউ নেই।তাদের মুশরীক সুলভ রীতিনীতি থেকে আল্লাহ সম্পূর্ণ পবিত্র।
(আত তাওবাহঃ৩১)
 এসব লোকেরা তাদের ওলামা ও পুররোহিতদের খোদাও মনে করতো না এবং তাদের উপাসনাও করতো না।তবে তারা ঔসব ধর্মযাজক ও পুরোহিতদের বিধান প্ররণয়নের অধিকার দিয়েছিল এবং তাদের আইন বিধান মেনে চলতো।বৈজ্ঞানিক সত্য প্রকাশ করার কারণে এবং তা ধর্মযাজকের তৈরী করা আইনের পরিপন্থি হওয়াই এরিস্টটল ও গ্যালিলিওয়ের মত বিজ্ঞানীদেরকে শাস্তি পেতে হয়য়েছে ।তাই এদেরকে আল্লাহ মুশরীক আখ্যা দান করেছে।আজও একই অবস্থা,পার্থক্য শুধু এটুকুই যে,
আইন রচনার অধিকার ধর্মযাজক ও পুররোহিতদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নির্বাচিত আইন পররিষদের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।বলা বাহুল্য,আইন পরিষদের সদস্যগণও ধর্মযাজকের মতই মানুষ মাত্র।আজকের যুগের মুসসলমান সমাজও জাহেলি সমাজ।তারা আল্লাহ ছাড়া অন্য দেব দেববীর উপাসনা করে না।এর পরেও তাদের সমাজ জাহেলি সমাজ।কারণ,তারা এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর সমীপে আত্ম সমর্পনের ভিত্তিতে তাদের জীবণ যাত্রার প্রণালী নির্ধারণ করেনি।
অাল্লাহ বলেন,
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولاءك هم الكفرون♦
অনুবাদঃ
যারা আল্লাহর দেওয়া হুকুম মুতাবিক বিচার ফায়সালা করে না,তারা কাফের।(মায়েদাঃ৪৪)

মামলা মোকদ্দমার মীমাংসা হবে আল্লাহর আইনে।আল্লাহ বলেনঃ
الم تر الي الذين يز عمون انهم امنوا بما انزل اليكم وما انزل من قبلك...........♦
অনুবাদঃ
(হে নবী) তুমি কি ঐসব লোকদের দেখেছ যারা মুখে দাবী করে যে,তোমার প্রতি ও তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা সবই সত্য বলে বিশ্বাস করে।কিন্তু তারা তাদের মামলা মোকদ্দমা ও বিষয়াদি মীমাংসার জন্যে তাগুতের নিকট পেশ করে।অথচ তাগুতকে অস্বীকার করার নির্দেশই তাদের দেয়া হয়েছিল।(নিসাঃ৬০)

তিননি আরও বলেননঃ
فلا  ربك لا يومنون حتي ...............♦
অনুবাদঃ
না (হে মুহাম্মাদ)তোমার রবের কসম! তারা কিছুতেই মুমিন হতে পারবে না,যে পর্যন্ত না তারা তাদের সকল বিষয়ে তুমাকেই চূড়ান্ত মীমাংসাকারী হিসেবে গ্রহণ করে এং তোমার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অন্তরে কোন দ্বিধা সংকোচ না রেখে অবনত মস্তকে তা মেনে নেয়।
(নিসাঃ৬৫)।

সুতরাং জমিন আল্লাহর
আইন চলবে আল্লাহর।
এজন্যই এই বিপ্লবী ঘোষণা যে,
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ(সা)।
[منير حسين]

Wednesday, September 13, 2017

লাশ্রীতাসু এর অল্প জীবনের গল্প

ফুটফুটে ছোট্ট ছেলেটির দিন কেটে যায় ধূলাবালির সাথে খেলা করে।কিছুটা গম্ভীরমনা।বেশিক্ষণ নিরব থাকতেই পছন্দ করে।হৈচৈ তার একেবারেই ভাল লাগেনা।তবে হ্যা তার সবচেয়ে বেশি পছন্দের জিনিসটি হল গান।একটি স্টীলের থালা হাতে নিয়ে এর মধ্যে আঙ্গুল ঠুকে আর গলা ছেড়ে গান গায়। কেউ তার গান শুনলেই বলে উঠে, ---"এক বেলা পেট ভরে ভাত খাওয়ামু,তুই একটা গান শুনারে।" ছেলটি গান গায়, ---"সোঁয়াচান পাখি আমার সোঁয়াচান পাখি........." গানের অর্থ না বুঝলেও এটি সে তার বাবার টেপ রেকর্ডার থেকে শিখেছে। খুব ভাল গায় ও।বাবা শ্রমিক।দিন আনে দিন খায়।সারাদিনে যা রোজগার হয় তা দিয়েই সংসার চলে।পরিবারের লোক সংখ্যা ৭ জন থেকে বেড়েই চলছে..... নাম 'লা শ্রী তা সু। দরিদ্র পরিবার নিয়ে বাবা মা হতাশাগ্রস্থ।ঐ ছেলেটিই হচ্ছে পরিবারের বড় ছেলে।কিন্তু ভারী কোন কাজ করতে পারেনা সে।পানির দিন আসলেই তার বাবা মাছ ধরে।পাশাপাশি প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের পাহাড় থেকে কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করে।তাও আবার লুকিয়ে লুকিয়ে।মাঝে মধ্যে মাছ বা খড়ির আঁটি দিয়ে লাশ্রীতাসুকে বাজারে পাঠানো হয় বিক্রি করার জন্য।তাকে যত টাকা বিক্রি করার জন্য বলা হয় তত টাকা ছাড়া অন্য কোন দামে সে বিক্রি করেনা।আসল কথা হল লাশ্রীতাসু হিসাব নিকাশে খুব কাঁচা।তাই সবাই তাকে নিয়ে মজা করে।গ্রামের ভাষায় 'ব্যাক্কল'বলেও ডাকে তাকে।এভাবে ধীরে ধীরে দিন কাটতে লাগল তার। একদিন লাশ্রীতাসু দেখল,গ্রামের সকল ছেলে মেয়েরা পাহাড় থেকে পাথর আনতে যায়।এক বস্তা পাথরের দাম ১০-১৫ টাকা।সেও তাদের সাথে গিয়ে খুব কষ্ট করে তিন বস্তা পাথর জমা করে ফেলল। খুব খুশি।এখন লাশ্রীতাসু একটু বুৃঝে।টাকা পেলে বাবা মা খুশি হবে এতে সেও আনন্দিত।ঐ সময়ে চালের দর ১৫ টাকা দর।সে এটা বুঝতে পারলো যে,দৈনিক তিনটা বস্তা পাথর দিয়ে ভরা মানে ৩-৪ কেজি চাল ক্রয় করা।এতে খাবারের অভাব কিছুটা হলেও ঘুচবে। কয়েকদিন পরেই পাহাড়ি ঢলে বন্যার সৃষ্টি হল তাদের এলাকায়।ঘরবাড়ি ডুবে গেল তাদের।তারা সবাই চলে গেল লাশ্রীতাসু এর নানার বাড়িতে অন্য গ্রামে।নানা বেঁচে নেই।নানী আছে। যাইহোক,সেখানেও বন্যা হানা দিল।শুধু ভিটেখানা বেঁচে আছে।উঠানে উরুপানি।সেইদিন ঘটল তার জীবনে একটি ঘটনা। পাহাড়ি ঢলে কয়লা নেমে এসেছে নদী দিয়ে।এগুলো ধরতে বাড়ির সবাই চলে গেল।বাড়িতে রয়ে গেল লাশ্রীতাসু,তার ছোট ভাই ও ছোট মামা আমির হোসেন। লাশ্রীতাসুতো একটু ব্যাক্কল টাইপের ছিল,তাই তার মামা তাকে কথায় কথায় ধমক আর থাপ্পর ছাড়া কোন কথা বলেনা।আসলে সে হল পরিবারের অবহেলিত একটি ছেলে।তো ঐদিন তার ছোট ভাই ও তার মামা তাকে মারল।৪ টি কলা তারা দুইজনেই ভাগ করে খেয়ে ফেলল।লাশ্রীতাসুকে দিলইনা।বরং অর্ধচন্দ্র দিয়ে তাকে বৃষ্টির মধ্যে ঘর থেকে বের করে দিল।কোমর সমান পানি। বাধ্য হয়ে তাকে বের হয়ে যেতে হল। বেরুতে বেরুতে সে হঠাৎ দেখতে পেল পুকুরের পাড় উপচে পড়া বন্যার পানিতে তেলাপিয়া মাছ শিম গাছে বেড়া দেয়া কারেন্টের জালের মধ্যে আটকা পড়েছে।তাড়াতাড়ি সে বড় মাছটি ধরে ফেলল আর ভাবল,এ মাছটি নিয়ে তার মামার কাছে দিলে হয়তো তাকে আদর করে ঘরে নেবে।বুক ভরা আশা নিয়ে মামার কাছে মাছটি দিল।সেটি নিয়ে তার মামা নিজ হাতে রান্না করে লাশ্রীতাসুর ছোট ভাইকে নিয়ে মাটিতে খেতে বসল আর মাছ খেয়ে তার কাটাগুলো মেঝের উপর রেখে বলল, --"নে তুই এগুলো খা।" লাশ্রীতাসুর বুক ফেটে কান্না আসল। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই তার।অসহায়ের মত বসে কিছুক্ষণ কেঁদে নিল। বন্যা শেষ প্রাই।তবে তারা এখনো নিজেদের গ্রামে যায়নি।লাশ্রীতাসু মাঝেমধ্যে তাদের গ্রামে আসা যাওয়া করে।তার এক ফুফু ও চাচাতো ছোট বোন ২য় শ্রেণীতে লেখা পড়া করে।তাদের পাশে বসে মনযোগ সহকারে ওদের পড়া শুণে।এভাবে সে অনেক কিছু শিখে ফেলল তাদের কাছ থেকে।মাঝে মধ্যে ওদের মত করে বানানও করে ফেলতে পারে লাশ্রীতাসু।ওরাতো অবাক! ---"কিরে,তুই বানান করতে পারিস!ভর্তি হয়ে যানা আমাদের সাথে।" এ কথা শুনে তার আগ্রহ বেড়ে গেল। লাশ্রীতাসু এই কথা বড় মামার সামনে তার বাবা মায়ের কাছে বলল। ---"লেহাপড়া করলে অনেক টেহা লাগে..." বলে দুয়েক কথা শুনিয়ে দিল তার বাবা। মামা বলল, ----"যার কপালে দু'বেলা ভাত জোটেনা তার নাকি আবার লেখাপড়া! যা কালকে থাইকা কয়লার ঠেলা গাড়ির পিছনে ঠেলতে যাইবি এতে কিছু টাকা মিলবো বাপ মায়ের অভাব দূর করবি।" মন খারাপ করে চলে গেল।কোন দূরন্তপনা নেই তার মনে।দুশ্চিন্তায় একা নিড়িবিলিতে বসে আছে সে। মা এসে বলল, --"সত্যিই লেখা-পড়া করবি?" ---"হ্যা", কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে জবাব দিল লাশ্রীতাসু।
পরের দিন তার মা লাশ্রীতাসুকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়ে আসল।শিক্ষকরা তার মেধা দেখে প্রথমই তাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করে দিল।শুরু হল লাশ্রীতাসু এর শিক্ষা জীবণ(২০০৭)। লাশ্রীতাসু এখন আনন্দে আত্মহারা।সে ৮ টাকা ফি দিয়ে বই নিয়ে নিল।নিয়মিত স্কুলে যায়। বাড়িতে কেউ তাকে পড়তে বসার জন্য তাগাদা দেয়না।আর দেবেই বা কেন।কেউতো শিক্ষিত নয়।শিক্ষার গুরুত্বও যেন তাদের কাছে আসারে গল্প। আনন্দ আর আগ্রহের সাথে লেখা পড়া করে লাশ্রীতাসু।শিক্ষকদের ও খুব সম্মান করে।শিক্ষকরাও তাকে আদর স্নেহ করে। মক্তবে সে আরবী শিখে।কিন্তু মক্তবে তার তেমন পড়া হয়না।প্রতিদিন আরবী পড়ার জন্য বাবা ও মায়ের হাতের পিটুনী খেতে হয়।কিন্তু পরবর্তীতে লাশ্রীতাসু সহি কুরআন প্রশিক্ষণে সনদ লাভ করেছে। এতটি বছর কেটে গেল তার এভাবেই। পরের বছর লাশ্রীতাসু তৃতীয় শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করে উত্বীর্ণ হল (২০০৮)। তাকে ফ্রিতে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিলো প্রধান শিক্ষক।তারপর চতুর্থ শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল (২০০৯)। এখান থেকেই সে চিন্তাশীল হয়ে উঠল। মাঝে মাঝে সে কবিতা লিখে।তার নিজস্ব প্রচেষ্টায় লিখেও ফেলল কয়েকটি কবিতা।তার কয়েকটি লাইন হচ্ছে এরকম; "সত্য ছাড়া চলবোনা মিথ্যা কথা বলবোনা সত্যের পথে চলবো সত্যের জয় করবো। সত্য কাউকে মাথা নত করেনা সত্য কাউকে ভয় করে চলেনা" লাশ্রীতাসু এর প্রিয় খেলা দাড়িয়াবান্দা ও গোল্লারছুট।এছাড়া সে অন্য কোন খেলা খেলতে পারেনা। অন্য ছেলেদের থেকে সে একটু অন্যরকম থাকতে চায় ও হতেও চায়।বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে খালি গলায় ইসলামী গান ও ক্বেরাত প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম হয়।এতে সে আরও অনুপ্রেরণা পায়। ৫ম শ্রেণীতে লাশ্রীতাসু প্রথমস্থান অধিকার করলো(২০১০)। গ্রামের সেই হাবাগোবা ছেলেটি হয়ে উঠল মেধাবী।এখন তাকে পুরু এলাকার মানুষ এক নামেই চিনে।সবাই তাকে আগ্রহ অনুপ্রেরণা দেয়।তার সুন্দর আচরণ তাকে আরও প্রিয় করে দিল সবার কাছে।বড়রা তাকে স্নেহ করে।ছোটরা করে সম্মান।নেতৃ্ত্ব দানের গুণাবলী তার মাঝে ফুটে উঠতে লাগলো।পুরু স্কুলের ক্যাপ্টিনের দায়িত্ব পেল সে। সকাল ৭ টায় চলে আসে স্কুলে।প্রাইভেট বা কোচিং ক্লাসসহ বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজ সমাপ্ত করে বিকাল ৪:৩০ মিনিটে বাড়ি ফিরে।লেখা পড়ায় সে একটু বেশি মনযোগ দিলো।কারণ,তাকে সমাপনী পরীক্ষা দিতে হবে।৪৬ জন ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে তাকে বিনা বেতনে প্রাইভেট পড়ায় তার প্রিয় শিক্ষক যোবায়ের স্যার।স্যার খুব আদর করে ওকে।পড়ন্ত এক বিকেলবেলা যোবায়ের স্যার লাশ্রীতাসু এর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, ---"দেখ বাবা,আমি সবাইকে প্রাইভেট পড়াচ্ছি।তবে তুমাকে নিয়ে আমি বড় আশা করি।আমার মুখ রাখতে পারবাতো?" ---"স্যার,আপনি শুধু দোয়া করবেন।সকল প্রচেষ্টা আমার।", লাশ্রীতাসু জবাব দিল। পরীক্ষা নিকটবর্তী হয়ে এল।নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা দিয়েও দিলো।পরীক্ষার দিনগুলো তার আনন্দেই কেটেছিল।তিন মাস পরে তার রেজাল্ট বের হল। পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পেয়ে উত্তীর্ণ হল লাশ্রীতাসু।স্কলারশিপ বৃত্তিও পেল সে।সবার মুখ সে উজ্জ্বল করে দিলো। তার পিতামাতাও আনন্দিত।কিন্তু সমস্যা হল ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে হলে ৬৮০ টাকার প্রয়োজন।৬০০ টাকা অর্জন করলে তার পিতার লাগে দুইদিন।আর দুইদিনের অর্জিত টাকা ছেলেকে দিয়ে দিলে চলবেনা পরিবার।একটা ঝামেলায় পড়ে গেল বাবা।হাইস্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম লাশ্রীতাসু সম্পর্কে জানে।তাই স্কুলের আঙ্গিনায় তাকে ঘুরতে দেখে প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন করে ভর্তি করিয়ে দেয় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে(২০১১)। বাড়ি এসে বাবা মাকে সুসংবাদটি জানালো।এতে সবাই খুশি হল।শুরু হল লাশ্রীতাসু এর হাইস্কুল জীবণ।অধ্যায়ন করতে লাগল বিনা বেতনে।এভাবে সে যথাক্রমে ৭ম(২০১২) ও ৮ম(২০১৩) শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করলো।নিয়মিত নামাজ আদায় করে।ক্লাসের সবাইকে সে নামাজের দাওয়াত দেয়।অমুসলিম বন্ধুদের প্রতি খুব যত্নশীল।প্রতিদিন তাদের খোঁজ খবর নেয়। JSC পরীক্ষায় সে GPA 5.00 (A+)পেল। চারিদিকে সে খবরটি বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পরল।পাশের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিল মাস্টার তাকে অনুপ্রেরণা দিতে লাগল বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হওয়ার জন্য। কিন্তু লাশ্রীতাসু যে বিদ্যালয়ে পড়ে সেখানে কোন বিজ্ঞান শাখা নেই।তাই অন্য একটি বিদ্যালয়ে ইন্টারভিউ দিল যেখানে বিজ্ঞান শাখা রয়েছে। সেখানেও ভর্তির জন্য সাহায্য করল খলিল মাস্টার।শুরু হল নবম শ্রেণীতে অধ্যায়ন(২০১৪)।লেখা পড়ার খরচ বাড়ি থেকে দিতে পারেনা।তাই সে টিউশনী খৌঁজতে থাকে।পাশেই ছিল একটি প্রাথমিক বিদ্যাল।যার প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার।সম্পর্কে নানা হয়। লাশ্রীতাসু তার সব বিষয় খোলে বলল উনার কাছে।তিনি বলে দিলেন যেন চতুর্থ শ্রেণীর সকল ছাত্র/ছাত্রী লাশ্রীতাসু এর নিকট প্রাইভেট পড়ে। টিউশনীর টাকা দিয়ে তার সকল খরচ ও লেখা পড়া চলতে লাগল।দু'বছর পেরিয়ে এল SSC পরীক্ষা(২০১৫)। পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল না আসলেও একটি সরকারী কলেজে ভর্তি হতে পারল সে। আশাহত জীবণ এখন সম্ভাবনাময় জমিতে পরিণত হয়েছে।তার দু'চোখে শুধু সুদূর প্রসারী স্বপ্ন।তবে অর্থের অভাব ঘুচেনি।স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানায় সে। লেখকঃ মনির হোসাইন গ্রামঃ লামাকাটা পোঃ শ্রীপুর উপজেলাঃ তাহিরপুর জেলাঃ সুনামগঞ্জ

একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণ,তার থেকে বাঁচার উপায়→আব্বাস আলী খান

সংক্ষিপ্ত নোট(মনির হোসাইন)ঃ
_______________________________
  • আদর্শবাদী দলঃ-প্রতিষ্ঠিত সমাজ ব্যাবস্থা সমূলে উৎপাটিত করে তার স্থলে ভিন্ন করে এক সমাজ ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে একটি আদর্শ বেচে নিতে হবে।এ চিন্তা ও আদর্শের সাথে যারা সকল দিক দিয়ে একমত পোষণ করে তারা একটি দল গঠণ করে, একে বলা হয় আদর্শবাদী দল।এ দল ইসলামী হতে পারে, ইসলাম বোরোধীও হতে পারে।
  • আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ-
  1. দলের লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্যকে জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসাবে গ্রহণ না করা।
  2. কুরআন, হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যায়ণ না করা।
  3. সময় ও অার্থিক কুরবানীর প্রতি অবহেলা।
  4. দলীয় মূলনীতি মেনে না চলা।
  5. ইনসাফ প্রতিষ্ঠা না করা।
  6. ভ্রাতৃত্ব বোধের অভাব।
  7. নিম্ন লিখিত কারণে পারস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্ট হয়ঃ

ক)হিংসা-বিদ্বেষ
খ)গীবত,পরনিন্দা,পরচর্চা
গ)পরশ্রীকাতরতা
ঘ)একে অপরকে সন্দেহের চোখে দেখা
ঙ)কারো বিপদে আপদে তার খোজ খবর না নেয়া
চ)অযথা কারো প্রতি কুধারণা করা
ছ)ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত থাকা

    8.নিম্নলিখিত কারণে একটি দলের প্রকৃত পরিচয় হারিয়ে ফেলে
ক)কৃত শপথ পূরণ না করা
খ)নিয়মিত দাওয়াতি কাজ না করা
গ)মাসিক এয়ানত না দেয়া
ঘ)দলের ডাকে সকল ব্যাক্তিগত ও বৈষয়িক কাজ পরিহার করে নির্দিষ্ট সময়ে যথাস্থানে হাজির না থাকা
ঙ)আল্লাহর ভয় ও আখিরাতের জবাবদিহি না থাকা
    9.জনশক্তির মাঝে নৈরাশ্য ও হতাশা সৃষ্টি করা।
   10.নেতৃত্বের অভিলাষ
   11.অর্থ সম্পদের প্রতি লালসা
   12.জীবণমান উন্নত করার প্রবণতা
   13.সহজ সরল জীবণ যাপন না করা
   14.নেতৃত্বের দূর্বলতা
   15.নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা
   16.বায়তুলমাল সম্পর্কে আমানতদারীতার অভাব এবং আর্থিক লেনদেনে সততার অভাব
  • তার থেকে বাঁচার উপায়ঃ-
  1. নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন।
  2. আল্লাহর সন্তোস অর্জন।
  3. অতিরিক্ত যিকির করা।
  4. আত্মসমালোচনা।
  5. ক্রোদ দমন করা।
  6. মৌলিক বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করা।
  7. বিরোধী পরিবেশ পরিস্থিকি দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া।
  8. সমস্যার ত্বরিৎ ও সঠিক সমাধান।
  9. ত্যাগ ও কোরবানী।

নৈতিকতাহীন মানুষ,মানবতা বিবর্জিত কর্মশালা→ মনির হোসাইন


১৩/৯/২০১৭ খৃঃ বুধবারঃ
_____________________
পাশ্চাত্য সভ্যতা পৃথিবীর গোটা মানব জাতিকে ছোয়াচে রোগের মত সংক্রমিত করে ফেলেছে।পাশ্চাত্য সংস্কৃতি গোটা মানব সমাজকে পঁচা ও দুর্গন্ধময় করে তুলেছে।একটা সন্তান তিলে তিলে বড় হচ্ছে আর তার মস্তিষ্কের প্রতিটা কোষে সেই অপসংস্কৃতির প্রতিটা শব্দকে ধারণ করছে।পশ্চিমা দেশের কোন পিতা মাতা তাদের সন্তানদের নিজ হাতে লালন পালন করে না।সকল দায়িত্ব সরকার নিয়ে নেয়।আমেরিকায় যান একই ঘটনা ঘটবে।যেখানে পিতা মাতার আদর ভালবাসার সংস্পর্শ ছাড়াই অপসংস্কৃতির যাতাকলে বেড়ে উঠে সন্তান।তাদেরকে শেখানো হয় অনৈতিকতা।নেই স্রষ্টা সম্পর্কিত কোন জ্ঞান বিজ্ঞান।

বস্তুত,এটা বিশ্ব মানবতার জন্যে খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে,Senstate বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞায় মানুষকে "merely a complex of electrone and protons, an animal organism,a reflex mechanism, a variety of stimulus response relationship or a psyco-analytical bag filled with psycho-logical libido"

অর্থাৎঃ"ইলেকট্রন ও প্রোটনের একটি যৌগিক ছাড়া আর কিছছুই নয়।একটি পাষবিক দেহ সংগঠণ আর একটি জীবণ যন্ত্রের প্রতিবিম্ব।ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সম্পর্কের একটি বিচিত্র প্ররকাশ অথবা একটি মনঃসমিক্ষণ গত ব্যাগ যেটি নানা বিদ্যাগত কর্ম প্রেরণা বা কর্ম শক্তিতে ভরা।"
বলে আখ্যায়িত করেছে।
এই সংজ্ঞা মানুষকে শুধু একটা নিছক biological organism এ পরিণত করেছে।যে জীবণকে পশুর সাথে তুলনা করা হয়েছে।এসব তত্ত্ব ভিত্তিহীন।কেননা মানুষ কোন ক্রমেই পশু নয়।পশুর ঊর্ধ্বে তার স্থান।তার রয়েছে কাজের তাগিদ, রয়েছে নিজেকে চালিত করার চেতনা ও উদ্দীপনা।তার রয়েছে উপলব্দি করার ক্ষমতা,সিদ্ধান্ত নেবার বোধশক্তি।এমন মানুষকে পাশ্চাত্য শিক্ষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতি দ্বারা গড়ে তুলা হয়েছে নীতি নৈতিকতাহীন ও মানবতা বিবর্জিত করে।যেখানে প্রতিটা সন্তান বড় হয়ে মা বাবাকে পাঠায় বৃদ্ধাশ্রমে।দিনের পর দিন,বছরের পর বছর চলে যায়, সন্তান মা বাবার কোন সন্ধান নেয় না,তাদের জন্য ভালবাসা, দরদ ও মমত্ববোধ দেখায় না, সেখানে তাদের কাছ থেকে বিশ্ব মানবতার জন্য কল্যাণ আশা করা বোকামী ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।যেখানে স্রষ্টা কর্তৃক প্রণীত  নৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি নেই সেখানে মানবতা লাঞ্চিত হবেই।কোন সন্দেহ নেই।আজকের পৃথিবী পরিচালকরা হলো ঐ ধাচের মানুষ।শুধু রোহিঙ্গা নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে তারা পৃথিবীর যে কোন মানবতাকে বিসর্জন দিতে প্রস্তুত।মানবতার চেয়ে দেশ ও জাতি কখনো মুখ্য হতে পারে না।
সুতরাং আসুন সুক্ষ্ম,সুন্দর ও নান্দনিক নৈতিকতায় আমরা গড়ে উঠি এবং আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলি।
http://www.monirhossain.jimdo.com

Monday, September 11, 2017

কলাগাঁও বাজারে তাওহীদী জনতার ঢল,মায়ানমারে গণ হত্যার বিরোদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল




স্টাফরিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার কলাগাও বাজারে যোহরের নামাজের পর পর-ই নেমেছে এলাকাবাসীর ঢল।
তাড়া প্রত্যেকেই অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহর কাছে দাবি জানাচ্ছিল, আল্লাহ যেনো বার্মার মুসলমানদের জান ও মালের হেফাজত করেন।
উপস্থিত এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ডাঃআব্দুল হাকিম,হাজী মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মুহাম্মদ শফিউল আলম,মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম আকাশ সহ অনেকেই।
              বক্তব্যের মূল দাবি ছিলো-
বার্মার নিরীহ মুসলমানদের উপর চলমান  অত্যাচার, জুলুম,নির্যাতন, নিপীড়ন,খুন,ঘুম,ধর্ষণ,অপহরণ,জ্বালাও পোড়াও ও ভিটেমাটি হীন করার যে গভীর ষড়যন্ত্র তা বন্ধকরে,স্ব-দেশে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব প্রদান করে রাষ্ট্রের সকল সুযোগ সুবিধাদি প্রধান করা।
        জনতার পক্ষের এক বক্তা বলেন:"আমরা কোরআন ও সুন্নাহর পরিপন্থীনয়,যেখানে মুসলমান আছে সেখানেই আছে কালেমা,সেখানেই আছি আমরা,আর সেখানেই আছে উমরের তলোয়ার।এই কালেমার পতাকা উড্ডয়নের জন্য কতো রক্ত ঝরিয়েছেন সাহাবীগণ ও রাসুল(স) বিভিন্ন যুদ্ধের প্রান্তরে।"
এ কথা বলে নবীজি (স)এর একটি বানীও বলেন-"এক মুসলমান আরেক মুসলমানের পোষাক স্বরূপ।"
এছাড়াও বলেন -আমার নামাজ,আমার কুরবানী,আমার ইবাদত,আমার হজ্জ,আমার যাকাত সবই সেই আল্লাহর জন্য।
তাই সেই আল্লাহ তা'লার হুকুম -"তোমরা জান ও মাল দ্বারা আমার রাস্তায় কোরবানি করো।"
আর তাই,সকলকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে বলেন এক বক্তা।
তিনি বলেন,রোহিঙ্গা মুসলিম মা-বাবা,ভাই-বোনেরা অনেক কষ্টে আছেন, তাই আমাদের দানের হাতকে প্রসারিত করতে হবে।
পরিশেষে বলেন-মুসলমানেরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায়না,'অংসান সুচি'কে বলেদিতে চাই।আর একটি মুসলমানকেউ হত্যা করলে আপনার পরিণাম ভয়া বহ হবে।তারপর দোয়ার মধ্যদিয়ে শেষ হয় আজকের এই বিক্ষোভ মিছিল।

মেঘের দেশে→এ.কে.এম. হারুনুর রশিদ_(সাহিত্য পাতা)

  মেঘের দেশে
এ.কে.এম.হারুনুর রশিদ
               

অন্তরীক্ষের উত্তরপূলিনে,
তমসার পেট থেকে চপলার উকি।
ধাপে ধাপে জলধর ধেয়ে চলেছে,
         মেঘালয় মহীন্দ্রের উর্ধ্ব থাকি।          

উর্মিমালার গর্ভ হতে কুন্তলের মতো,
ঘুটিঘুটি অঝোরে ঝাড়ছে ঘনো
নিশিথিনীর নিশাকর ফিস ফিস বলছে,
সুরমা কল্লোলিনীর তটে আঘাত হানো।
নিকেতন হতে বিহঙ্গের কণ্ঠ,
শ্রবণগোচরিছি বারবার
ধবল ডাকিছে স্ব-আলয় হতে,
চারিদিকে ঘেরা আধার।

Saturday, September 9, 2017

সুনামগঞ্জ জেলা শিবিরের আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালন→স্থানীয় প্রতিনিধি



আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান ও পথশিশু দের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন করে ইসলামী ছাত্রশিবির সুনামগঞ্জ জেলা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সম্মানিত সেক্রেটারী মু.আশরাফ উদ্দীনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

১৮ সেপ্টেম্বর মায়ানমারের দূতাবাস ঘেরাও করবে হেফাজত


বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী মায়ানমারের আরাকান রাজ্যে মুসলমানদের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন ও অব্যাহত গণহত্যার  প্রতিবাদে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে হেফজাতে ইসলাম বাংলাদেশ। এছাড়াও আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর জুমাবার দেশব্যাপী হেফজাতে ইসলামের ডাকে বিক্ষোভ ও গণমিছিল, ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার জাতিসংঘ ও ওআইসি মহাসচিব বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান, মসজিদ মাদরাসায় কুনুতে নাজেলার আমল জারি করার নির্দেশ ও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ সাহায্য পৌঁছানোর জন্য হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিল গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

আজ শনিবার (০৯সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মলেনে এসব কর্মসুচী ষোষণা দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাবুনগরী বলেন, পৃথিবীর অন্য কোথাও নয়; আমাদেরই সীমান্তবর্তী, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের আরাকানে ঘটছে সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ গণহত্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধ। আমরা অপরিসীম মর্মবেদনা ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে প্রত্যক্ষ করছি, আমাদের ঘরের পাশে আরাকান রাজ্যের নিরীহ, নিরস্ত্র ও বেসামরিক মানুষকে প্রতিদিন পশুর মতো জবাই করে হত্যা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর মিয়ানমার সরকার ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সন্ত্রাসী বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত ফ্যাসিবাদী জুলুম ও রাষ্ট্রীয় গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। নিরীহ রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি আরাকানের হিন্দুদের ওপরও সম্প্রতি হামলা হয়েছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের নৃশংসভাবে হত্যা করে শরীর টুকরো টুকরো করে নাফ নদীসহ খাল, বিল, জলাশয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য মুসলিম মা বোনেরা ধর্ষণ, গুম ও নির্মম হত্যার শিকার। নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও হত্যাকা- থেকে রেহাই পাচ্ছে না। আক্ষরিকভাবেই সেখানে রক্তের নদী বইছে। রক্তাক্ত আরাকান, রক্তাক্ত মুসলমান কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের কর্তব্য পালন করছে না। চীন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খুনি মিয়ানমার সরকারকে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়েছে। ইহুদীবাদী ইসরাঈল অস্ত্র ও সমর প্রশিক্ষক সরবরাহ করছে। এ থেকেই বুঝা যায় এটা শুধু ভূরাজনৈতিক সমস্যা নয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। মুসলিম সভ্যতা ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে বহুদেশীয় এই সাম্প্রদায়িক সংঘাতের সচিত্র প্রমাণ ও বাস্তবতা প্রতিদিন আমাদের সামনে আসছে।

আরাকান ভূখণ্ড থেকে মুসলিম জাতিসত্তাকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করে দেবার হীন উদ্দেশ্যে পূর্বঘোষিত ও পরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হচ্ছে। দেশটির সামরিক বাহিনী বেসামরিক বৌদ্ধ জনগণকে অস্ত্রে সজ্জিত করে হত্যাকা-ে প্ররোচিত করছে। গ্রামের পর গ্রাম, পাড়া-মহল্লা ও বাড়ি-ঘরে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। আরাকানে এই গণহত্যার সংবাদ বিশ্বমিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে। দু’চারটি সচিত্র সংবাদ দেখলেই কোনও বিবেকবান মানুষ স্থির থাকতে পারেন না। অথচ মুসলিমদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ সরকারপ্রধান ক্ষমতার মোহ ও রাজনৈতিক স্বার্থে মায়ানমার সরকারের একতরফা হত্যাকা- ও বর্বরোচিত অত্যাচারের ব্যাপারে বরাবরই মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে।

হেফাজত মহাসচিব বলেন, ঐতিহাসিকভাবে আরাকান মিয়ানমারের অংশ ছিলো না। আরাকান একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র ছিল। ১৪৩০ সাল থেকে ১৭৮৪ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৫৪ বছর স্বাধীনভাবে মুসলমানরা এ ভূখ- শাসন করেছে। ১৭৮৪ সালে বর্মিজ রাজা বর্মণ আরাকান দখল করে নেয়। ব্রিটিশরা ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারকে স্বাধীনতা দেওয়ার সময় স্বায়ত্বশাসিত আরাকানকে মিয়ানমারের সাথে জুড়ে দেয়, যা ছিল মূলত ষড়যন্ত্র। ১৯৭৮ সালে মিয়ানমারের সামরিক শাসক জেনারেল নে উইন এসে আরাকানের স্বায়ত্বশাসন রহিত করে। ১৯৮২ সালে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব বাতিল করে। নাগরিকত্ব বাতিল করে তারা ধারাবাহিকভাবে এই মর্মে মিথ্যাচার করতে থাকে যে, রোহিঙ্গারা বর্মী নয়, তাদের আদি ও উৎপত্তি হলো বাংলাদেশে। আরাকানে তারা বাংলাদেশী অনুপেবেশকারী। এই জঘন্য মিথ্যাকে সত্যি প্রমাণ করার জন্য তাদের ভাষায় এসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদেরকে তারা হটিয়ে দিচ্ছে। তাদের কোন স্বাধীনতা নেই, দেয়া হয় নি কোন মানবিক অধিকার।
এই দাবি যে কত স্ববিরোধী তার স্বপক্ষে বহু তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। এখানে উল্লেখ করতে চাই, ১৯৪৮ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত সুলতান মাহমুদ, আবুল বাশার, আব্দুল গাফ্ফার, জোহরা বেগম প্রমুখসহ উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক ব্যক্তি আরাকানের মুসলিম প্রধান এলাকাগুলো থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে দেশটির পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

এর পর ১৯৯০ সালে যখন সামরিক বাহিনীর অধীনেই প্রথমবারের মতো বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সে নির্বাচনে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এন্ড হিউম্যান রাইটস পার্টি থেকেই প্রার্থী হওয়ার অনুমতি পান এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে উত্তর আরাকান থেকে শামসুল আনোয়ার, নুর আহমদ, মোহাম্মদ ইবরাহিম ও ফজল আহমদ নামে ৪ জন পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। বুচিডং থেকে নির্বাচিত এমপি শামসুল আনোয়ারকে অং সান সুচি ১৯৯৮ সালে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি হিসেবে ‘পিপলস পার্লেমেন্টে’র সদস্য করেন। এখন প্রশ্ন হলো, নাগরিক না হলে রোহিঙ্গারা এমপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলেন কীভাবে? ভোট দিলেন কীভাবে ? রোহিঙ্গা প্রতিনিধিগণ কাদের ভোটের নির্বাচিত হয়েছিলেন ?

আসল কথা হলো, মুসলিম সংখ্যালঘু জনগণের বসবাসের ন্যায্যতা ও নাগরিকত্বকে অস্বীকার করে কার্যত মানবতাবিরোধী নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে বর্ণবাদী মিয়ানমার। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এখন এটা স্পষ্ট, জিরো টলারেন্স নীতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করাই হচ্ছে তাদের দীর্ঘদিনের গোপন রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা। বিশ্বজুড়ে প্রবল নিন্দা, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকার ও সেদেশের উগ্র সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদেরকে এহেন নিষ্ঠুর গণহত্যা ও বর্ণবাদী উগ্রতা থেকে নিবৃত্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। কার্যত মিয়ানমারে এখন নব্য নাৎসিজমের উত্থান ঘটেছে।

তিনি বলেন, বিশ্বমোড়ল আমেরিকা, রাশিয়া, জাতিসংঘসহ গোটা দুনিয়ার কাছে বিবেকবান মানুষের প্রশ্ন, মুসলমান হওয়াটাই কি আরাকানের নির্যাতিত নাগরিকদের অপরাধ? যে নির্যাতন আজ আরাকান-কাশ্মীরে চলছে তার শতভাগের একভাগও যদি কোনও মুসলিম দেশে অমুসলিমদের ওপর করা হতো তাহলে বিশ্বসংস্থা ও প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের শক্তিধর দেশগুলো এভাবে নীরব ভূমিকা পালন করতো ? নিশ্চয় না।
এর তাজা দৃষ্টান্ত ইন্দোনেশিয়ার পূর্বতিমূর ও সুদানের দারফুর। দেশ দুটিতে অমুসলিমদের ওপর তেমন কোনও অত্যাচারই হয় নি বরং পান থেকে চুন না খসতেই জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে অঞ্চল দুটিকে অনেকটা চাপের মুখে স্বাধীন বা আলাদা করে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্যাতনকারী ও আগ্রাসীশক্তি অমুসলিম আর নির্যাতিতরা মুসলমান হলে কেন ভিন্ন নীতি ? আরাকান ও কাশ্মিরের প্রশ্নে জাতিসংঘ ও বিশ্বসংস্থাগুলো অন্ধ ও বধির কেন ? নাকি মুসলমানদের কোনো মানবাধিকার থাকতে নেই।

আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, একটি মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের দাবি হলো, সারা দেশের সর্বস্তরের নাগরিক, দেশি-বিদেশি মুসলিম এনজিও সংস্থাসহ সকলের জন্য রোহিঙ্গাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো ও বিতরণের সুযোগ উন্মুক্ত রাখুন।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তথা সর্বস্তরের মুসলমানদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে মায়ানমার সরকারের গণহত্যা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। রোহিঙ্গাদের সেদেশে ফেরৎ পাঠাতে আন্তর্জাতিকভাবে মায়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য কুটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করুন। মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপি কর্তৃক বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্গণ, সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমি মাইন স্থাপন ও বাংলাদেশের দিকে গুলি ছোড়ার যে স্পর্ধা দেখানো হয়েছে তার সমুচিত পাল্টা জবাব দিন। গোটা দেশের মানুষ সীমান্ত রক্ষী বিজিবির সাথে রয়েছে।

আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে, জাতিসংঘ, সার্ক, আসিয়ান ওআইসিসহ বিশ্বসংস্থাসমূহকে আরাকানের মুসলমানদের মানবিক অধিকার রক্ষায় কার্যকরি ভূমিকা পালন করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য আমরা তুরস্ক সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকিম, যুগ্ম-মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা সলিমুল্লাহ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাসা মাদানী, মাওলানা ইসহাক, মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজ, মাওলানা মীর ইদরীস, মাওলানা আ ন ম আহমদ উল্লাহ, মাওলানা ইউনুচ, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।

Friday, September 8, 2017

আল কুরআনে বর্ণিত রোহিঙ্গাদের আর্তনাদ;→মনির হোসাইন

মক্কার নারী এবং ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা যখন শুধু ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হওয়ার কারণে মক্কার কর্তৃত্বশীল জালিমরা তাদের উপর নির্যাতন নিপীরণ চালানো শুরু করল তখন মক্কার আকাশ বাতাস আন্দোলিত হতে লাগল নারী ও শিশুদের আর্ত চিৎকারে।আল্লাহ আয়াত নাযিল করে দিয়ে বললেন,
'তোমাদের কি হলো, তোমরা আল্লাহর পথে নারী ও শিশুদের জন্য লড়বে না,যারা দূর্বলতার কারণে নির্যাতিত হচ্ছে?তারা ফরিয়াদ করছে, হে-আমাদের রব,এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাও,যার অধিবাসীরা জালিম আর তুমি আমাদের জন্য তোমার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করে পাঠাও।'(সূরা নিসাঃ৭৫)
যুগে যুগে এমন মাজলুম নারী ও শিশুরা ছিল, রয়েছে এবং থাকবে।আজ রোহিঙ্গারাও সেই মাজলুম সংখ্যা লঘু।শুধু মাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে আজ তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ দিয়ে দমন পীরণ শুরু করেছে মায়ানমারের বৌদ্ধ সরকার।সুদূর তুরষ্ক থেকে মিস.এরদোগান এসে অসহায় মাজলুমদের দেখে যেতে পারল কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী এক নজর দেখার জন্যও সেখানে গেল না।মুসলিম বিশ্ব মায়ানমারের বিরোদ্ধে  ফুসলে উঠেছে।অংসাং সূচিও নির্যাত বন্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।জাতিসংঘও তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না।আজ রোহিংগারা আর্ত চিৎকার করে বলছে আমাদের বাঁচাও।
সুতরাং দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ না হলে এ পৃথিবী থেকে জুলুম মুছে দেওয়া যাবে না।আসুন আমরা বলি 'ওয়া ক্বালা ইন্নানী মিনাল মুসলিমীন।'
অর্থাৎঃএবং তারা বলে আমরা মুসলমান।
অতএব আমরা এ জাতি এক আদর্শ। আমরা ঐক্যবদ্ধ হবো ইনশাল্লাহ।

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর পৃথিবীর নিকৃষ্টতম অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে ধনপুর ইউনিয়নবাসির বিক্ষোভ মিছিল

</মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলমানদের অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে ধনপুর ইউনিয়নবাসি বিক্ষোভ মিছিল করেছে আজ শুক্রবার দিন।পবিত্র জুমুয়ার সালাত শেষে সকল মুসল্লিগণ একত্রিত হয়ে ধনপুর বাজার জামে মসজিদের মেইন গেইট হতে মিছিলটি আরম্ভ করে এবং সমস্ত বাজার ঘুরে বাজারের মাঝখানে এসে মিছিলটি শেষ হয়।মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ধনপুর ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি এবং ইউপি সদস্য হাফেজ মু.ইউনুছ,মেরুয়াখলা মোমিনিয়া ফাযিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সুনামগঞ্জের সর্ববৃহৎ সামাজিক অনলাইন প্লাটফর্ম 'সুনামগঞ্জ ডটকম'

আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ, পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের একটি অন্যতম জেলা সুনামগঞ্জ এবং তার মাটি ও মানুষ। অন্যদের মত স...