Tuesday, July 31, 2018

কামরানকে আতর গোলাপ চন্দন মাখিয়ে বলি দেওয়ার কি প্রয়োজন ছিলো?→হিরণ মাহমদ নিপু

ব্লাগার রিপোর্টঃ

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু তার ফেইসবুক টাইমলাইনে গত ৩০ জুলাই ঘটে যাওয়া সটি নির্বাচন নিয়ে একটি বিবৃতি দেন।তিনি বলেন;  রাজশাহী - বরিশালে  এবং গাজী পুর সিটি নির্বাচনে প্রত্যেকটিতে ৭০/৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন এবং কিভাবে এত ব্যবধানে নৌকা বিজয়ী হয়েছে তা শুধু দেশবাসী নয় বিশ্ববাসী জানে ব্যতিক্রম শুধু সিলেটের জন্য ।
বদরুদ্দীন আহমেদ কামরান ভাই কে আতর গোলাপ চন্দন মাখিয়ে বলি দেওয়ার কি প্রয়োজন ছিলো?
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক কলাকৌশলের কারনে অন্য কাউকে মেয়র প্রার্থী করা যেত।
জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে এমন একটি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সম্পন্ন ব্যক্তি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কে ধ্বংস করে দিলেন ?
কি অপরাধ ছিল বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এর কি অপরাধ ছিলো আমাদের মত আবেগী কর্মীদের যে আমাদের সাথে এমন সাজানো নাটক করলেন ?
আরিফুল হক সাহেব এর সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব ছিলোনা বা থাকার প্রশ্নই ওঠে না বরং খুবই ভাল সম্পর্ক উনি যেদিন  হাইকোর্ট এর রায় পেয়েছিলেন সেদিন তিনি আমার বাসার সামনে পেয়ে বললেন হিরন বিয়ে করেছ শুনেছি এসো তোমার বৌ দেখব বলেই ঘরে ঢুকে আমার বৌকে বলেন যে ছোট বোন হে একটা পাগল আমি কিছু খাব না আমার ডায়াবেটিস তুমি আমাকে কমলা থাকলে খাবাও ।
পাতানো নির্বাচনের স্বার্থে এই শহরের মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করেছি, জীবনে কখনো উপশহর সেন্টারে নৌকা বিজয়ী হয়নি। ৩৫শত ভোটের মধ্যে ৩৩ কাস্ট হওয়ার কথা বললেন আনোয়ারুজ্জান চৌধুরী।
কথামতো কাজ করেছি নৌকা কে বিজয়ী করেছি ।নবীনচন্দ স্কুল সেন্টারে সকাল ৭টায় নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই ঘরির এজেন্ট বিএনপির এজেন্টদের সাথে আল্লাহ্ মাবুধ....
ব্লুবার্ড স্কুল সেন্টারে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী সালেহ আহমদ ট্রেক্টর মার্কা এবং ধানের শীর্ষে জোট বেঁধে ভোট দিতে দেই নি ।
এত কষ্ট চরিত্র নষ্ট করে আমার পরিবারের জন্য কিছু করিনি।
আওয়ামী লীগ তোমার রাজনীতি করি করছি কিন্তু শেষ বিকেলে তুমি তোমার প্রয়োজনে আমাকেই বলি?
বাঘ যখন ক্ষোদা পায় তখন তার বাচ্চা খায় এটাই কি বাস্তবতা?
নির্বাচন কে কেন্দ্র করে নানাজনের নানা মত নানা ধরনে ক্ষোভ মিশ্রিত প্রতিক্রিয়া আবেগী কর্মীদের বুকফাটা আর্তনাদ প্রকাশ করছেন টংদোকান অফিস কক্ষ সহ যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে।অত্যন্ত স্বাভাবিক ।অত্যন্ত স্বাভাবিক হলেও বিষয়টির ফলাফল  অস্বাভাবিক যা আগামী প্রজন্মকে রাজনীতিতে বিমুখতার সহায়ক হবে ।
তথ্যঃলেখকের ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে।

বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ভাই কে ছোট্ট একটি পরামর্শ- সোহেল তাজ এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এর মত পরিবার নিয়ে বিদেশে চলে যান । যেটুকু গিয়েছে যাক চিন্তা না করে যা রয়েছে তা রক্ষা করেন ।



Monday, July 30, 2018

আমরা কথা রেখেছি→মনির হোসাইন

আমরা যে কেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলাম।

৮ নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলা জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা ভোট কেন্দ্র।

মদিনা মার্কেট।যেখানে আমাদের ভোট সবার চেয়ে দৃশ্যতই বেশি, সেখানে যখন ঘড়ির মান ভাল, (যেটা আমি সকালের পোস্টে বলেছিলাম) তখন আমার চোখের সামনে কামরানের ভাই,আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ প্ল্যান করে এসে গুঞ্জন রটিয়ে দিলো যে, ভেতরে সীল মারা হচ্ছে। যাতে একটা বিসৃঙ্খলা লেগে যায়, পরে ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে   নিজেরা যাতে ইচ্ছে মত সীল মারতে পারে। করলও তাই।বিএনপির কয়েকটা লোক যখন এই গুঞ্জন শুনে স্লোগান দিয়ে এগিয়ে গেল।তাদের পুলিশ ধাওয়া করলো।এর পরে তাদের আর দেখা যায় নি।তখন আমাদের সাথে ঝামেলা শুরু করলো।তারা বলতে লাগলো আমরা না কি লোকদেরকে ঘড়ি ঘড়ি করে ভোট দিতে বলছি।এক কথা দুই কথা লেগে গেলো হুলুস্থুল।পুলিশ এসে আমাদের ধাওয়া করলো এবং গেইট থেকে যখন সব পুলিশ আমাদের দিকে তেড়ে এসেছে ঠিক সেই মুহুর্তে প্রাই ৫০ জনের মত ছাত্রলীগ লাটিসোটা নিয়ে একজন পুলিশের ইশারায় ভেতরে চলে গেল।তারপর সীল মারতে শুরু করলো নৌকায়।আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ ও RAB এর সহযোগীতা চেয়েই যাচ্ছি।তারা বলল,তোমরা কোনো কথা বলবানা ও হৈ হুল্লুর করবানা।উপর থেকে অর্ডার আছে আমরা ডাইরেক্ট গুলি করে দেব।আমাদেন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলো।শাহজালাল ইউনিভার্সিটির সেক্রেটারী রেজাউল ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা পুলিশকে ধাক্কাইয়া গেইট পর্যন্ত নিলাম আর বললাম ভেতরে যা হচ্ছে ঠেকান।আমরা আপনাদের উপর আস্থা রাখি।তারপরেও তারা কথা বলে না।আমরা যখন আল্লাহু আকবার বলে ইট পাটকেল নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করলাম, তারা দৌড়ে অনেক দূর চলে গেল।আমরা দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকে জাল ভোট ঠেকানোর চেষ্টা করলাম তখন পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করলো।এতে আমাদের কয়েকজন সাথী আহত হয়।গুলাগুলির শব্দ শুনে ছাত্রলীগ ভেতর থেকে ৫০ টা দ্রুত বের হয়ে পুলিশের সাথে আমাদের ধাওয়া করতে লাগলো।আমরা আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে গেলাম।তারাও থমকে দাড়িয়ে গেল।এর পরর ফিরে গেল।আমরাও সেইভ হয়ে গেলাম।ভাগ্যিস আমরা যতি এই কাণ্ডটা না ঘটাতাম তাহলে ছাত্রলীগ দরজা বন্ধ করে সীল মারতেই থাকতো আর আমরা অসহায়ের মত দাড়িয়েই থাকতাম।যা হোক, সাংবাদিক চলে আসলো।ছাত্রলীগ হুসিয়ার হয়ে গেলো।পরে পুলিশ, বিজিবি,আরমী, RAB তারা এসে গেইট ঘেড়াও করে রাখলো।প্রাই আঁধাঘন্টা পর আবার ভোট গ্রহণ শুরু।ঘড়ির মান ভালো।শেষে এই কেন্দ্রের ফলাফল কি(?)।

নৌকা ও ধানের শীষের ভোট গণনা হলেও ঘড়ি মার্কার ভোট গুণতে দেওয়া হয় নি।পরে রেজাল্ট না জানিয়েই জনগণকে সারাক্ষণ বসিয়ে রেখে ধোকা দিয়ে বেলট বাক্স নিয়ে প্রশাসণ চলে যায়।আমরা হতাশ! একি!

কিছু করার ছিলো না।

তখন বুঝতে পারলাম ভোট গণনার ক্ষেত্রে এই একটা কেন্দ্রে যা হয়েছে অন্যান্য কেন্দ্রেও তাই হয়েছে।পরে জানলাম, হ্যা এমনটাই হয়েছে।

হ্যা সত্য বলছি,

আমি স্বশরীরে উপস্থিত ছিলাম এই কর্মকাণ্ডগুলোতে।পাগড়ি মাথায় এক হুজুরও নৌকায় অনেক গুলো সীল মেরেছে।ছাত্রলীগেরা এসে এসে বলছে,

কিরে কয়টা দিছস?

-দুইটা।কেউ বললে চারটা।এভাবে তারা লাইনে দাড়িয়ে পুলিশেন সহায়তায় তারা একটু পর পরেই ভোট দিয়েছে।তখন অসহায়ের মত চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার ছিলো না আমার।

আল্লাহ,

এই অন্যায়ের শেষ কোথায়?

ফাহাদ ভাইকে অন্য আরেকটা কেন্দ্রে রক্ত ঝড়াতে হয়েছে গুলিতে।তার হাটুতে বন্দুক ঠেকিয়ে পুলিশ গুলি করেছে।

আল্লাহ ভাইকে সুস্থ করে দিন।আমি ১৩৪ টা কেন্দ্রের কথা বলি নি।শুধু একটা কেন্দ্রের কথা সংক্ষিপ্তভাবে বললাম।

এর পরেও আমরা কথা রেখেছি।আমরা মাঠে থেকেছি।জুলুমের বিরোদ্ধে আমরা লড়াই করেছি।

আপনারা করেন বা না করেন,

আমরা বিশ্বাস করি

আল্লাহর কসম

এ জুলুমের শেষ হবে একদিন।

আমরা সেই দিনেন প্রতিক্ষায় থাকবো।

আল্লাহ আপনি তাদেরর চিনে রাখুন।

আমরা অাল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিদানের প্রত্যাশী।

#কপি_নিষিদ্ধ।


শিবির নেতা গুলিবিদ্ধ।


২১ নং ওয়ার্ডের শিবগঞ্জ বখতিয়ার বিবি স্কুলে ঘড়ি মার্কার নির্বাচনী কাজ করাকালে কতোয়ালী থানার সভাপতি শিবির নেতা ফাহাদের উপর পুলিশ পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেছে। অনিয়মে বাধা দিতে গেলে পুলিশ তার উপর চড়াও হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্বার করে হাসপালে নেয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের সর্ববৃহৎ সামাজিক অনলাইন প্লাটফর্ম 'সুনামগঞ্জ ডটকম'

আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ, পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের একটি অন্যতম জেলা সুনামগঞ্জ এবং তার মাটি ও মানুষ। অন্যদের মত স...