৮ নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলা জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা ভোট কেন্দ্র।
মদিনা মার্কেট।যেখানে আমাদের ভোট সবার চেয়ে দৃশ্যতই বেশি, সেখানে যখন ঘড়ির মান ভাল, (যেটা আমি সকালের পোস্টে বলেছিলাম) তখন আমার চোখের সামনে কামরানের ভাই,আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ প্ল্যান করে এসে গুঞ্জন রটিয়ে দিলো যে, ভেতরে সীল মারা হচ্ছে। যাতে একটা বিসৃঙ্খলা লেগে যায়, পরে ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে নিজেরা যাতে ইচ্ছে মত সীল মারতে পারে। করলও তাই।বিএনপির কয়েকটা লোক যখন এই গুঞ্জন শুনে স্লোগান দিয়ে এগিয়ে গেল।তাদের পুলিশ ধাওয়া করলো।এর পরে তাদের আর দেখা যায় নি।তখন আমাদের সাথে ঝামেলা শুরু করলো।তারা বলতে লাগলো আমরা না কি লোকদেরকে ঘড়ি ঘড়ি করে ভোট দিতে বলছি।এক কথা দুই কথা লেগে গেলো হুলুস্থুল।পুলিশ এসে আমাদের ধাওয়া করলো এবং গেইট থেকে যখন সব পুলিশ আমাদের দিকে তেড়ে এসেছে ঠিক সেই মুহুর্তে প্রাই ৫০ জনের মত ছাত্রলীগ লাটিসোটা নিয়ে একজন পুলিশের ইশারায় ভেতরে চলে গেল।তারপর সীল মারতে শুরু করলো নৌকায়।আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ ও RAB এর সহযোগীতা চেয়েই যাচ্ছি।তারা বলল,তোমরা কোনো কথা বলবানা ও হৈ হুল্লুর করবানা।উপর থেকে অর্ডার আছে আমরা ডাইরেক্ট গুলি করে দেব।আমাদেন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলো।শাহজালাল ইউনিভার্সিটির সেক্রেটারী রেজাউল ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা পুলিশকে ধাক্কাইয়া গেইট পর্যন্ত নিলাম আর বললাম ভেতরে যা হচ্ছে ঠেকান।আমরা আপনাদের উপর আস্থা রাখি।তারপরেও তারা কথা বলে না।আমরা যখন আল্লাহু আকবার বলে ইট পাটকেল নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করলাম, তারা দৌড়ে অনেক দূর চলে গেল।আমরা দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকে জাল ভোট ঠেকানোর চেষ্টা করলাম তখন পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করলো।এতে আমাদের কয়েকজন সাথী আহত হয়।গুলাগুলির শব্দ শুনে ছাত্রলীগ ভেতর থেকে ৫০ টা দ্রুত বের হয়ে পুলিশের সাথে আমাদের ধাওয়া করতে লাগলো।আমরা আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে গেলাম।তারাও থমকে দাড়িয়ে গেল।এর পরর ফিরে গেল।আমরাও সেইভ হয়ে গেলাম।ভাগ্যিস আমরা যতি এই কাণ্ডটা না ঘটাতাম তাহলে ছাত্রলীগ দরজা বন্ধ করে সীল মারতেই থাকতো আর আমরা অসহায়ের মত দাড়িয়েই থাকতাম।যা হোক, সাংবাদিক চলে আসলো।ছাত্রলীগ হুসিয়ার হয়ে গেলো।পরে পুলিশ, বিজিবি,আরমী, RAB তারা এসে গেইট ঘেড়াও করে রাখলো।প্রাই আঁধাঘন্টা পর আবার ভোট গ্রহণ শুরু।ঘড়ির মান ভালো।শেষে এই কেন্দ্রের ফলাফল কি(?)।
নৌকা ও ধানের শীষের ভোট গণনা হলেও ঘড়ি মার্কার ভোট গুণতে দেওয়া হয় নি।পরে রেজাল্ট না জানিয়েই জনগণকে সারাক্ষণ বসিয়ে রেখে ধোকা দিয়ে বেলট বাক্স নিয়ে প্রশাসণ চলে যায়।আমরা হতাশ! একি!
কিছু করার ছিলো না।
তখন বুঝতে পারলাম ভোট গণনার ক্ষেত্রে এই একটা কেন্দ্রে যা হয়েছে অন্যান্য কেন্দ্রেও তাই হয়েছে।পরে জানলাম, হ্যা এমনটাই হয়েছে।
হ্যা সত্য বলছি,
আমি স্বশরীরে উপস্থিত ছিলাম এই কর্মকাণ্ডগুলোতে।পাগড়ি মাথায় এক হুজুরও নৌকায় অনেক গুলো সীল মেরেছে।ছাত্রলীগেরা এসে এসে বলছে,
কিরে কয়টা দিছস?
-দুইটা।কেউ বললে চারটা।এভাবে তারা লাইনে দাড়িয়ে পুলিশেন সহায়তায় তারা একটু পর পরেই ভোট দিয়েছে।তখন অসহায়ের মত চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার ছিলো না আমার।
আল্লাহ,
এই অন্যায়ের শেষ কোথায়?
ফাহাদ ভাইকে অন্য আরেকটা কেন্দ্রে রক্ত ঝড়াতে হয়েছে গুলিতে।তার হাটুতে বন্দুক ঠেকিয়ে পুলিশ গুলি করেছে।
আল্লাহ ভাইকে সুস্থ করে দিন।আমি ১৩৪ টা কেন্দ্রের কথা বলি নি।শুধু একটা কেন্দ্রের কথা সংক্ষিপ্তভাবে বললাম।
এর পরেও আমরা কথা রেখেছি।আমরা মাঠে থেকেছি।জুলুমের বিরোদ্ধে আমরা লড়াই করেছি।
No comments:
Post a Comment